আয়না শুধুমাত্র একটি প্রতিচ্ছবি দেখার মাধ্যম নয়, বরং এটি ঘরের সৌন্দর্য এবং শৈল্পিকতা বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য একটি উপাদান। বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের আয়না বিভিন্ন ডিজাইন, আকৃতি, এবং দামে পাওয়া যায়। এখানে আমরা বাংলাদেশের জনপ্রিয় ইকমার্স সাইট থেকে আয়নার দাম সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেছি।
১. বিভিন্ন ধরনের আয়না
বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের আয়না পাওয়া যায়, যেমন:
ওয়াল আয়না: দেয়ালে ঝোলানো যায়, যা ঘরের ভেতরকে সুন্দর এবং প্রশস্ত দেখাতে সাহায্য করে।
স্ট্যান্ডিং আয়না: স্বতন্ত্রভাবে দাঁড়িয়ে থাকে এবং এটি সাধারণত বেডরুমে ব্যবহৃত হয়।
মিনিয়েচার আয়না: ছোট আয়না, যা ডেকরেটিভ আইটেম হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
২. আয়নার দাম
নিচে কয়েকটি জনপ্রিয় বাংলাদেশী ইকমার্স সাইট থেকে আয়নার দাম তুলে ধরা হলো:
Daraz.com.bd:
ওয়াল আয়না: ২,০০০ টাকা থেকে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত
স্ট্যান্ডিং আয়না: ৩,০০০ টাকা থেকে ৭,০০০ টাকা পর্যন্ত
মিনিয়েচার আয়না: ৫০০ টাকা থেকে ২,০০০ টাকা পর্যন্ত
Evaly.com.bd:
ওয়াল আয়না: ১,৫০০ টাকা থেকে ৪,০০০ টাকা পর্যন্ত
স্ট্যান্ডিং আয়না: ২,৫০০ টাকা থেকে ৬,০০০ টাকা পর্যন্ত
ডেকরেটিভ আয়না: ১,০০০ টাকা থেকে ৩,৫০০ টাকা পর্যন্ত
AjkerDeal.com:
ওয়াল আয়না: ১,৮০০ টাকা থেকে ৫,৫০০ টাকা পর্যন্ত
স্ট্যান্ডিং আয়না: ২,০০০ টাকা থেকে ৮,০০০ টাকা পর্যন্ত
কাচের আয়না: ১,২০০ টাকা থেকে ৪,০০০ টাকা পর্যন্ত
৩. কারুকার্য ও ডিজাইন
আয়নাগুলো শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় জিনিস নয়, বরং এগুলোর ডিজাইন এবং কারুকার্য ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। স্থানীয় শিল্পীদের তৈরি নানা রকমের ফ্রেম, নকশা এবং স্টাইল ঘরের ডিজাইনকে আরও উন্নত করে।
৪. কেন আয়না কিনবেন?
আয়না কেনার সময় আপনার স্টাইল এবং প্রয়োজনের দিকে খেয়াল রাখা জরুরি। আয়নার আকার, ডিজাইন এবং দামের উপর ভিত্তি করে আপনি আপনার ঘরের জন্য সঠিক আয়না নির্বাচন করতে পারেন। আয়না কেবল ঘরকে সাজায় না, বরং এটি মানসিকতার উপরও প্রভাব ফেলে। একটি সুন্দর আয়না আপনার ঘরের পরিবেশকে উজ্জ্বল এবং আকর্ষণীয় করে তোলে।
উপসংহার
আয়না আপনার ঘরের একটি অপরিহার্য উপাদান এবং বাংলাদেশে এর দাম, ডিজাইন এবং শৈলীতে বৈচিত্র্য রয়েছে। জনপ্রিয় ইকমার্স সাইটগুলো থেকে আয়নার দাম ও ধরন সম্পর্কে জেনে আপনি সহজেই আপনার পছন্দের আয়না নির্বাচন করতে পারেন। পাশাপাশি, একটি বিশেষ মাত্রা যোগ করে, যা আপনার ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। আশা করি এই পোস্টটি আপনার আয়না নির্বাচন করতে সহায়তা করবে।
ঘরের সাজসজ্জায় রঙের গুরুত্ব অপরিসীম। একটি সুন্দর এবং সঙ্গতিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করতে, ঘরের রঙ এবং পর্দার মিলন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সঠিক রঙের পর্দা আপনার ঘরের উজ্জ্বলতা এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। এই ব্লগ পোস্টে, আমরা আলোচনা করব কিভাবে ঘরের রঙ অনুযায়ী পর্দা নির্বাচন করা যায়, যাতে আপনার ঘর হয়ে ওঠে আরও আকর্ষণীয় এবং স্বাচ্ছন্দ্যময়। আমাদের ব্র্যান্ড কারুকার্য এই কৌশলগুলোতে আপনাকে সাহায্য করবে।
১. হালকা রঙের দেয়াল
যদি আপনার ঘরের দেয়াল হালকা রঙের হয়, তাহলে আপনি গাঢ় রঙের পর্দা বেছে নিতে পারেন। যেমন, পেস্টেল শেডসের ওপর গাঢ় নীল, টমেটো রেড, বা গাঢ় সবুজ পর্দা ব্যবহার করলে ঘরটি উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। এই কৌশলটি ঘরে গভীরতা এবং চরিত্র যোগ করে, যা আপনার স্টাইল এবং পছন্দকে প্রকাশ করে। আমাদের ব্র্যান্ড কারুকার্য হালকা দেয়ালের সাথে মিল রেখে বিভিন্ন ডিজাইনের গাঢ় রঙের পর্দা সরবরাহ করে।
২. গাঢ় রঙের দেয়াল
গাঢ় রঙের দেয়ালের জন্য হালকা বা নিউট্রাল রঙের পর্দা নির্বাচন করা শ্রেষ্ঠ। এটি আপনার ঘরকে ভারসাম্যপূর্ণ এবং শান্তিপূর্ণ অনুভূতি দেয়। যেমন, গাঢ় ধূসর বা নেভি ব্লু দেয়ালের সাথে হালকা বেজ, সাদা বা ক্রিম রঙের পর্দা দারুণ মানানসই। এটি একটি মার্জিত এবং আধুনিক পরিবেশ সৃষ্টি করে, যা আপনার ঘরের সৌন্দর্যকে দ্বিগুণ করে। আমাদের কারুকার্য ব্র্যান্ডে এ ধরনের পর্দার অসাধারণ সংগ্রহ রয়েছে।
৩. একাধিক রঙের সমন্বয়
যদি আপনার ঘর একাধিক রঙে সাজানো হয়, তাহলে পর্দা নির্বাচন করার সময় সেই রঙগুলোর সাথে মিল রেখে কিছু উজ্জ্বল শেড বেছে নিতে পারেন। যেমন, যদি আপনার ঘরে লাল এবং হলুদ রঙের ব্যবহার হয়, তাহলে সাদা বা ক্রিম রঙের ওপর লাল বা হলুদ ছাপা ডিজাইনের পর্দা ব্যবহার করলে এটি আপনার ঘরের সাজে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
৪. প্রাকৃতিক আলোর সাথে সমন্বয়
ঘরের রঙ এবং পর্দার নির্বাচন করার সময় প্রাকৃতিক আলোর পরিমাণও মনে রাখতে হবে। যেসব ঘরে প্রচুর প্রাকৃতিক আলো প্রবাহিত হয়, সেখানকার হালকা রঙের পর্দা ব্যবহার করলে ঘরটি উজ্জ্বল ও স্বচ্ছ দেখাবে। আবার যেসব ঘরে আলো কম, সেখানকার গাঢ় রঙের পর্দা ব্যবহার করলে ঘরটি আরও উষ্ণ এবং আমন্ত্রণমূলক হবে।
৫. টেক্সচার এবং ডিজাইন
পর্দার টেক্সচার এবং ডিজাইনও ঘরের রঙের সাথে সমন্বয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি সুতির বা লিনেনের পর্দা ব্যবহার করেন, তাহলে সেটি ঘরের স্বাভাবিক রঙের সাথে মিলবে এবং শান্ত পরিবেশ সৃষ্টি করবে। অন্যদিকে, সিল্ক বা ভেলভেটের পর্দা ব্যবহার করলে একটি আভিজাত্যের অনুভূতি তৈরি হয়।
ঘরের রঙ অনুযায়ী পর্দার নির্বাচন আপনার ঘরের সৌন্দর্য এবং আরাম বৃদ্ধি করে। সঠিক রঙ এবং ডিজাইনের পর্দা আপনার ঘরকে একটি নতুন জীবনের ছোঁয়া দেয়। আমাদের ব্র্যান্ড কারুকার্য আপনাকে সঠিক পর্দা নির্বাচন করতে সাহায্য করবে, যাতে আপনার ঘর হয়ে ওঠে আরও আকর্ষণীয় এবং স্বাচ্ছন্দ্যময়। ঘর সাজানোর এই সহজ কৌশলগুলো অনুসরণ করে আপনি একটি সুন্দর এবং সংগঠিত পরিবেশ তৈরি করতে পারেন।
রান্নাঘর আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গা। পরিষ্কার ও গুছানো রান্নাঘর শুধু চোখের আরামই নয়, বরং রান্নার কাজকে দ্রুত এবং সহজ করে তোলে। অগোছালো ও বিশৃঙ্খল রান্নাঘর কেবল মানসিক চাপের কারণই নয়, এটি সময়ের অপচয়ও ঘটায়। তবে সঠিক উপায়ে রান্নাঘর গুছিয়ে রাখলে আপনি খুব সহজেই একটি পরিচ্ছন্ন ও কার্যকরী পরিবেশ বজায় রাখতে পারবেন।
Karukarjo আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে কিছু সহজ এবং কার্যকরী টিপস, যেগুলো অনুসরণ করে আপনার রান্নাঘরকে গুছিয়ে এবং সুন্দরভাবে সাজিয়ে রাখতে পারবেন।
১. অপ্রয়োজনীয় জিনিস বাদ দিন
রান্নাঘরে প্রচুর অপ্রয়োজনীয় জিনিস জমা হয় যা আপনার কাজের গতি ধীর করে দেয়। প্রথমেই আপনার রান্নাঘরের প্রতিটি শেলফ, ড্রয়ার এবং কেবিনেট থেকে এমন জিনিসগুলো আলাদা করুন যেগুলো আপনি নিয়মিত ব্যবহার করেন না। পুরোনো বাসনপত্র, খারাপ হয়ে যাওয়া মসলা, এবং ভাঙা বা অকেজো সরঞ্জামগুলো সরিয়ে ফেলুন।
২. ক্যাবিনেট এবং শেলফের কার্যকর ব্যবহার
ক্যাবিনেট এবং শেলফ গুছিয়ে রাখার মাধ্যমে আপনি রান্নাঘরকে সুশৃঙ্খল রাখতে পারেন। আপনার বাসনপত্র এবং রান্নার সরঞ্জামগুলোর জন্য আলাদা স্থান নির্ধারণ করুন। ক্যাবিনেটের দরজায় হুক বা ছোট শেলফ লাগিয়ে তাতে ছোটখাটো জিনিস, যেমন মাপের চামচ, কাঁচি ইত্যাদি সংরক্ষণ করুন। Karukarjo-এর বিভিন্ন শেলফ অর্গানাইজার ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই ক্যাবিনেটের ভিতরের জায়গাকে আরও কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে পারবেন।
৩. কিচেন কাউন্টার গুছিয়ে রাখুন
কিচেন কাউন্টার সাধারণত অগোছালো হয়ে যায়, কারণ রান্নার সময় আমরা সবকিছু কাউন্টারে রেখে দিই। তাই কিচেন কাউন্টার সবসময় ফাঁকা রাখার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো কেবলমাত্র কিচেন কেবিনেট বা শেলফে রাখুন, যাতে কিচেন কাউন্টার ফাঁকা এবং ব্যবহারের জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকে। এতে রান্নার সময় কাজ করার জায়গা পাবেন এবং কিচেনকে আরও বড় ও পরিপাটি মনে হবে।
৪. মসলা ও অন্যান্য উপকরণ সঠিকভাবে সাজান
মসলাগুলো সহজেই হাতে পাওয়ার জন্য সেগুলো গুছিয়ে রাখুন। Karukarjo-এর মসলা রাখার জার ও কন্টেইনার ব্যবহার করে প্রতিটি মসলাকে আলাদা রাখুন এবং নাম ট্যাগ লাগিয়ে দিন। এতে আপনি সহজেই মসলা খুঁজে পাবেন এবং রান্নার সময় নষ্ট হবে না।
৫. ড্রয়ার অর্গানাইজার ব্যবহার করুন
ড্রয়ারের ভেতরে অগোছালো চামচ, ছুরি, কাঁটা চামচ বা অন্যান্য ছোটখাটো জিনিস গুছিয়ে রাখার জন্য ড্রয়ার অর্গানাইজার ব্যবহার করা জরুরি। এতে ড্রয়ারের ভেতরকার জিনিসগুলো সঠিকভাবে সাজিয়ে রাখা যায় এবং আপনার প্রয়োজনীয় জিনিস সহজেই খুঁজে পাওয়া যায়।
যেসব জিনিস আপনি প্রতিদিন ব্যবহার করেন, যেমন কড়াই, চাপকলে, বটি বা ব্লেন্ডার, সেগুলো হাতের নাগালে রাখুন। এমন একটি স্থান নির্ধারণ করুন যেখানে এই জিনিসগুলো সহজে পাওয়া যায় এবং আপনার কাজের গতি বাড়ে। অন্যদিকে, কম ব্যবহৃত জিনিসগুলোকে দূরে বা উপরের শেলফে সংরক্ষণ করুন।
উপসংহার
রান্নাঘর গুছিয়ে রাখা কেবল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যাপার নয়, এটি আপনার সময় বাঁচায় এবং কাজকে আরও সহজ করে তোলে। সঠিকভাবে রান্নাঘরের সরঞ্জাম ও উপকরণ গুছিয়ে রাখার মাধ্যমে আপনার রান্নার অভিজ্ঞতাকে আরও আনন্দদায়ক করতে পারেন। Karukarjo-এর সুন্দর ও কার্যকরী পণ্যগুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার রান্নাঘরকে শৃঙ্খলাবদ্ধ এবং স্টাইলিশ করে তুলতে পারবেন।
Karukarjo-এর অনন্য সংগ্রহের মাধ্যমে আপনার রান্নাঘরের অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্য ও কার্যকারিতা বাড়িয়ে তুলুন, যা আপনার দৈনন্দিন রান্নার অভিজ্ঞতাকে করবে আরও উপভোগ্য।
বারান্দা হলো আমাদের ঘরের এমন একটি অংশ, যা খুব সহজেই একান্ত সময় কাটানোর এবং প্রকৃতির সান্নিধ্য পাওয়ার জায়গা হতে পারে। সঠিকভাবে বারান্দা সাজিয়ে তোলার মাধ্যমে আপনি এটি শুধুমাত্র একটি বসার জায়গা নয়, বরং একটি আরামদায়ক, স্টাইলিশ এবং মনোরম কোণ হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন। বারান্দার সঠিক সজ্জা আপনার ঘরের সামগ্রিক পরিবেশকে অনেকখানি উন্নত করতে পারে। Karukarjo থেকে পাওয়া নান্দনিক হোম ডেকর এবং ফার্নিশিং আইটেম ব্যবহার করে আপনার বারান্দাকে রূপ দিন স্বপ্নের মতো একটি ছোট্ট ঘরে।
১. বারান্দার আকারের উপর ভিত্তি করে আসবাবপত্র নির্বাচন
বারান্দার আকার ছোট হলে সেখানে হালকা ও ভাঁজযোগ্য আসবাবপত্র ব্যবহার করা ভালো। ছোট আকারের টেবিল এবং চেয়ারের সেট বারান্দার জায়গা বাঁচিয়ে সেটাকে কার্যকর এবং সৌন্দর্যময় করে তোলে। অন্যদিকে, যদি বারান্দার জায়গা বড় হয়, সেখানে আপনি Karukarjo-এর হ্যান্ডক্রাফটেড আউটডোর আসবাবপত্র রাখতে পারেন। আমাদের ফার্নিশিং আইটেমগুলো শুধুমাত্র স্থান বাঁচায় না, এটি বারান্দার সজ্জাকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে।
২. গাছপালা ও সবুজায়ন
বারান্দার সজ্জায় সবুজ গাছপালা যুক্ত করা একটি অন্যতম সুন্দর উপায়। ছোট বা মাঝারি সাইজের ইনডোর প্ল্যান্ট, ঝুলন্ত টব, কিংবা বালকনি গার্ডেন বারান্দাকে জীবন্ত ও সতেজ করে তোলে। Karukarjo-এর বোহেমিয়ান স্টাইলের প্ল্যান্ট হোল্ডার বা পট স্ট্যান্ডগুলো ব্যবহার করে আপনি গাছপালার প্রদর্শনীকে আরও স্টাইলিশভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারেন।
৩. আলো এবং লাইটিং এর ব্যবহার
সন্ধ্যা বা রাতে বারান্দার সৌন্দর্য আরও বেশি ফুটিয়ে তুলতে আলোর ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ছোট ফেয়ারি লাইট, ঝুলন্ত ল্যান্টার্ন, কিংবা সোলার লাইটের মাধ্যমে বারান্দায় একটি নরম ও স্বপ্নিল আবহ তৈরি করা যায়। Karukarjo-এর লাইটিং সলিউশন আপনার বারান্দাকে রোমান্টিক এবং আরামদায়ক করে তুলতে সক্ষম।
৪. মেঝের সজ্জা
বারান্দার মেঝে সাজাতে কিছু সুন্দর রাগ বা কার্পেট ব্যবহার করা যেতে পারে। Karukarjo-এর হাতে বোনা রাগগুলো আপনার বারান্দার মেঝেকে রুচিসম্পন্ন ও আরামদায়ক করে তোলে। এছাড়া কিছু কুশন বা পুফ ব্যবহার করলে এটি আরামদায়ক সিটিং এরিয়া হিসেবে কাজ করবে।
৫. ব্যক্তিগত টাচ ও ডেকর
বারান্দাকে পুরোপুরি নিজের মতো করে সাজাতে সেখানে কিছু ব্যক্তিগত টাচ যুক্ত করুন। কিছু হাতে তৈরি শোপিস, দেয়ালে আর্টওয়ার্ক, কিংবা Karukarjo-এর ডেকরেটিভ পিস দিয়ে আপনার বারান্দাকে আরও নান্দনিক করে তুলুন।
Karukarjo-এর সাথে বারান্দার সৌন্দর্য বর্ধন
Karukarjo ব্র্যান্ডের হোম ডেকর আইটেমগুলো ব্যবহার করে আপনি সহজেই আপনার বারান্দাকে একটি স্টাইলিশ, আরামদায়ক এবং দৃষ্টিনন্দন স্পেসে রূপান্তর করতে পারেন। আমাদের নান্দনিক এবং হাতে তৈরি পণ্যগুলো আপনার ব্যক্তিত্ব এবং পছন্দের প্রতিফলন ঘটাতে সাহায্য করবে।
আপনার বারান্দা ঘরের একটি বিশেষ অংশ, যা সঠিক সজ্জার মাধ্যমে ঘরের পরিবেশকে অনেকখানি উন্নত করতে পারে। Karukarjo-এর নান্দনিক হোম ডেকর এবং আসবাবপত্রের মাধ্যমে আপনি আপনার বারান্দাকে শুধুমাত্র বসার জায়গা নয়, বরং একটি আরামদায়ক ও শৈল্পিক স্পেস হিসেবে রূপ দিতে পারেন।
দেয়াল সজ্জা ঘরের অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার অন্যতম সহজ ও কার্যকর উপায়। একটি সাদামাটা ঘরকেও দেয়াল সজ্জার মাধ্যমে আকর্ষণীয় এবং প্রাণবন্ত করে তোলা যায়। Karukarjo এর নান্দনিক ও সৃজনশীল দেয়াল সজ্জার উপকরণ আপনার ঘরকে দেবে অনন্য এক স্টাইল ও শৈল্পিকতা।
১. শিল্পকর্ম দিয়ে দেয়াল সাজানো
ঘরের দেয়ালে শিল্পকর্ম টাঙানো সবসময়ই একটি চমৎকার আইডিয়া। Karukarjo-এর হাতে তৈরি বিশেষ ওয়াল আর্ট বা পেইন্টিংস ঘরের দেয়ালে লাগিয়ে আপনি একদিকে ঘরের শৈল্পিকতা বাড়াতে পারবেন, অন্যদিকে আপনার পছন্দের একটি অংশ ঘরে সংযুক্ত হবে। বিভিন্ন আকার, রঙ এবং শৈলী অনুযায়ী শিল্পকর্ম বাছাই করে ঘরের থিম অনুযায়ী সজ্জা করতে পারেন।
২. আয়না দিয়ে দেয়াল সাজানো
আয়না ঘরের শৈল্পিকতা বাড়ানোর পাশাপাশি ঘরকে বড় ও উজ্জ্বল দেখাতেও সাহায্য করে। Karukarjo এর মডার্ন এবং ট্র্যাডিশনাল ডিজাইনের আয়না দিয়ে আপনি দেয়ালে একটি ফোকাল পয়েন্ট তৈরি করতে পারেন, যা ঘরকে আরও জীবন্ত করে তুলবে। আয়নার ফ্রেম, আকার ও স্টাইল অনুযায়ী সেটি আপনার ঘরের ডেকরেশনের সাথে মানানসই করে বেছে নিতে পারেন।
৩. ফটো ফ্রেমের মাধ্যমে ব্যক্তিগত স্পর্শ
আপনার প্রিয় মুহূর্তগুলো ফ্রেমে বেঁধে দেয়ালে ঝুলিয়ে দিন। Karukarjo-এর আধুনিক ও ঐতিহ্যবাহী ডিজাইনের ফটো ফ্রেম আপনার ঘরের দেয়ালকে গল্প বলার একটি মাধ্যম হিসেবে উপস্থাপন করবে। ছোট এবং বড় ফ্রেম মিলিয়ে গ্যালারি ওয়াল তৈরি করতে পারেন, যা আপনার ঘরের একটি বিশেষ দিক হিসেবে সবার নজর কাড়বে।
৪. কাঠের শেলফ এবং স্টোরেজ দিয়ে দেয়াল সাজানো
কাঠের শেলফ বা বুকশেলফও ঘরের দেয়ালের শূন্যস্থান পূরণ করতে পারে। Karukarjo এর হাতে তৈরি কাঠের শেলফ ঘরে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আনার পাশাপাশি স্থান সংরক্ষণের কাজেও লাগে। এতে আপনি বই, গাছপালা বা ছোট ডেকোরেশন আইটেম রাখার মাধ্যমে দেয়ালকে আরও কার্যকর এবং সৃজনশীলভাবে সাজাতে পারেন।
৫. দেয়ালে কাপড় বা টেক্সটাইল আর্টের ব্যবহার
টেক্সটাইল আর্ট বা ট্যাপেস্ট্রি এখন দেয়াল সজ্জার অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম। Karukarjo এর টেক্সটাইল আর্টস দিয়ে ঘরের দেয়ালে একটি বোহেমিয়ান বা ট্র্যাডিশনাল টাচ আনতে পারেন। এই ধরনের সজ্জা ঘরে উষ্ণতা এবং ব্যক্তিত্ব যোগ করে, যা আপনার ঘরের শৈল্পিক দিককে আরও উজ্জ্বল করে তোলে।
৬. দেয়ালে প্রাকৃতিক উপকরণের ব্যবহার
প্রাকৃতিক উপকরণ যেমন বাঁশ, ক্যানভাস, কিংবা পাথরের ওয়াল ডেকোরেশন দিয়ে ঘরের একটি নির্দিষ্ট থিম তৈরি করতে পারেন। Karukarjo এর প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি ডেকোর আইটেম আপনাকে প্রকৃতির কাছাকাছি নিয়ে আসবে এবং ঘরে একটি শান্তিময় পরিবেশ তৈরি করবে।
Karukarjo এর সাথে দেয়াল সজ্জায় শৈল্পিকতার ছোঁয়া
Karukarjo-এর দেয়াল সজ্জার আইটেমগুলো শুধু দেখতে সুন্দর নয়, প্রতিটি পণ্যেই থাকে আমাদের দেশীয় ঐতিহ্যের স্পর্শ। প্রতিটি দেয়াল সজ্জার উপকরণই হাতে তৈরি এবং বিশেষ যত্নের সাথে প্রস্তুত, যা আপনার ঘরকে করে তোলে অনন্য।
৭. সঠিক স্থানে সঠিক সজ্জা
দেয়াল সজ্জার ক্ষেত্রে সঠিক স্থানে সঠিক ডেকোরেশন আইটেম ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। Karukarjo এর প্রোডাক্ট গুলো আপনার ঘরের প্রতিটি দেয়ালের জন্য মানানসই। লিভিং রুম, ডাইনিং রুম কিংবা বেডরুম— প্রতিটি ঘরেই Karukarjo এর বিভিন্ন পণ্য দিয়ে আপনি দেয়ালের শূন্যতা পূরণ করতে পারবেন।
দেয়াল সজ্জা কেবল ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে না, এটি আপনার ব্যক্তিত্ব এবং শৈল্পিক স্বাদেরও প্রতিফলন ঘটায়। Karukarjo এর হাতে তৈরি দেয়াল সজ্জার উপকরণ আপনার ঘরে এনে দেবে এক নতুন মাত্রা। সৃজনশীলতা, ঐতিহ্য এবং মানের মিশেলে Karukarjo এর পণ্যগুলো আপনার দেয়ালকে করে তুলবে আকর্ষণীয় এবং স্মৃতিময়।
অর্ডার করুন Karukarjo এর ওয়াল ডেকোরেশন আইটেম, আর আপনার ঘরে আনুন শৈল্পিকতার স্পর্শ।
টেলিভিশন দেখার অভিজ্ঞতা আরামদায়ক করতে শুধু ভালো মানের টিভি এবং সুন্দর সোফা থাকা যথেষ্ট নয়। গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো টেলিভিশন এবং সোফার মধ্যে সঠিক দূরত্ব বজায় রাখা। সঠিক দূরত্ব না রাখলে চোখের আরাম নষ্ট হয় এবং দীর্ঘ সময় টিভি দেখার পর ক্লান্তি বা অস্বস্তি সৃষ্টি হতে পারে। একইসঙ্গে এটি ঘরের ইন্টেরিয়র ডিজাইন এবং ভারসাম্য বজায় রাখতেও সহায়ক।
আসুন জেনে নেই, কীভাবে সঠিকভাবে টিভি এবং সোফার মধ্যে দূরত্ব নির্ধারণ করা উচিত।
১. টিভির আকারের উপর ভিত্তি করে দূরত্ব নির্ধারণ
টেলিভিশনের আকার এবং রেজোলিউশন অনুযায়ী সোফা থেকে দূরত্ব নির্ধারণ করা উচিত। সাধারণত, টিভির আকার যত বড় হবে, সোফা থেকে দূরত্ব তত বেশি হওয়া উচিত। নিচে একটি সহজ গাইডলাইন দেওয়া হলো:
32 ইঞ্চি টিভি: ৪.৫ থেকে ৬.৫ ফুট
40 ইঞ্চি টিভি: ৫ থেকে ৮.৫ ফুট
50 ইঞ্চি টিভি: ৬.৫ থেকে ১০.৫ ফুট
60 ইঞ্চি টিভি: ৮ থেকে ১৩ ফুট
এই দূরত্ব বজায় রেখে আপনি স্ক্রিনে থাকা ছবির প্রতিটি ডিটেইল স্পষ্টভাবে দেখতে পারবেন এবং আপনার চোখও আরাম পাবে।
২. রেজোলিউশনের উপর প্রভাব
টিভির রেজোলিউশনও সোফা থেকে দূরত্ব নির্ধারণের একটি প্রধান উপাদান। উচ্চ রেজোলিউশনের টিভির (যেমন 4K বা 8K) ক্ষেত্রে স্ক্রিনের নিকটবর্তী বসেও ছবির মান বজায় থাকে, কারণ এতে পিক্সেল ঘনত্ব বেশি। তাই, 4K বা 8K টিভির ক্ষেত্রে দূরত্ব কিছুটা কম হলেও আরামদায়ক হয়।
৩. চোখের আরামের জন্য সঠিক উচ্চতা
দূরত্বের পাশাপাশি টিভির উচ্চতাও গুরুত্বপূর্ণ। টিভির মাঝখানটি যেন আপনার চোখের সরল রেখায় থাকে, এটি নিশ্চিত করা উচিত। খুব বেশি উপরে বা নিচে টিভি স্থাপন করলে, দীর্ঘ সময় ধরে দেখার সময় আপনার ঘাড়ে ও চোখে চাপ পড়তে পারে। বসা অবস্থায় আপনার চোখের সরল রেখা থেকে টিভির স্ক্রিনের মাঝখানের উচ্চতা প্রায় ১৫ ডিগ্রি নিচে হলে সেটাই সবচেয়ে আরামদায়ক।
৪. ঘরের বিন্যাস ও স্থাপত্যগত ভারসাম্য
টিভির অবস্থান এবং সোফার দূরত্ব কেবল আরামের জন্যই নয়, এটি ঘরের ইন্টেরিয়র ডিজাইনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। টিভি এবং সোফার মধ্যে সঠিক দূরত্ব রাখলে ঘরের ডিজাইন ভারসাম্যপূর্ণ দেখাবে। পাশাপাশি টিভির চারপাশের স্থান খোলা রাখা ঘরকে প্রশস্ত এবং শৃঙ্খলাবদ্ধ রাখার বোধ তৈরি করে।
৫. আলো ও প্রতিফলন
টিভির দূরত্ব নির্ধারণ করার সময় আলো এবং প্রতিফলনের কথা মনে রাখতে হবে। টিভির স্ক্রিনে জানালা বা লাইটের আলো পড়ে যাতে প্রতিফলন সৃষ্টি না করে, সে দিকে নজর দিতে হবে। অন্যথায়, আপনি টিভি দেখার সময় আরামে বিঘ্ন ঘটতে পারে এবং প্রতিফলন আপনার দৃষ্টিতে সমস্যা তৈরি করতে পারে।
টেলিভিশন থেকে সোফার সঠিক দূরত্ব রাখা কেবল চোখের আরাম এবং সুস্বাস্থ্যের জন্যই নয়, এটি আপনার ঘরের ভারসাম্য বজায় রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ। টিভির আকার, রেজোলিউশন এবং ঘরের বিন্যাসের উপর ভিত্তি করে দূরত্ব নির্ধারণ করলে আপনি একটি আরামদায়ক এবং পরিপাটি ঘর পেতে পারেন। সঠিকভাবে দূরত্ব নির্ধারণ করে আপনি টিভি দেখার অভিজ্ঞতাকে আরও মধুর করে তুলতে পারবেন।
আয়না শুধুমাত্র নিজের প্রতিচ্ছবি দেখার মাধ্যম নয়, বরং এটি ঘরের সাজসজ্জার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। একটি ছোট ঘরকে বড় দেখানো থেকে শুরু করে আলো ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে উজ্জ্বলতা বাড়ানো পর্যন্ত, আয়না ঘরের অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে বিশাল ভূমিকা রাখে। আসুন, জেনে নেই কিভাবে আয়না ঘরের মধ্যে সৌন্দর্য বর্ধনে কাজ করে।
১. ঘরকে প্রশস্ত দেখাতে সাহায্য করে
আয়না ঘরের প্রাচীরের উপর স্থাপন করলে এটি ঘরকে অনেক বেশি বড় এবং প্রশস্ত দেখায়। বিশেষ করে ছোট ঘরে আয়নার সঠিক ব্যবহার ঘরের পরিসরকে মানসিকভাবে দ্বিগুণ করে তুলতে পারে। একাধিক আয়না ব্যবহার করে একটি ছোট ডাইনিং বা লিভিং রুমকেও প্রশস্ত ও উন্মুক্ত মনে করা যায়।
২. আলো প্রতিফলিত করে উজ্জ্বলতা বাড়ায়
আয়নাগুলো প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম আলোকে প্রতিফলিত করে ঘরের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। দিনের বেলা জানালার পাশে আয়না রাখলে সূর্যের আলো ঘরের প্রতিটি কোণায় ছড়িয়ে পড়ে, যা ঘরকে উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত করে তোলে।
৩. শৈল্পিক উপাদান হিসেবে ব্যবহার
শুধু আলোক প্রতিফলনের জন্যই নয়, আয়না শৈল্পিক উপাদান হিসেবেও দুর্দান্ত। ফ্রেমসহ আয়না, যেমন কাঠ, ধাতু, কিংবা ভিনটেজ ডিজাইনের আয়না ঘরের সৌন্দর্যকে অন্য মাত্রায় নিয়ে যায়। এটি দেয়ালে ঝুলিয়ে ঘরের মূল আকর্ষণ হিসেবে স্থান পেতে পারে, যা আপনার ঘরের ইন্টেরিয়রকে দৃষ্টিনন্দন করে তুলবে।
৪. ঘরের ভারসাম্য বজায় রাখে
আয়না ঘরের মধ্যে ভারসাম্য তৈরিতে সাহায্য করে। ঘরের একটি অংশ ভারী আসবাবপত্র বা ডেকর আইটেম দিয়ে ভর্তি হলে, বিপরীত দিকে একটি আয়না স্থাপন করলে সেই ভারসাম্য রক্ষা পায়। এটি ঘরকে নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ করে তুলতে সহায়ক।
৫. ব্যক্তিগত স্পেস তৈরি করে
বেডরুমে বা বাথরুমে আয়না রাখার মাধ্যমে ব্যক্তিগত স্পেস তৈরি করা যায়, যেখানে আপনি নিজের পরিচর্যা বা সাজসজ্জা করতে পারেন। আয়না মানসিকভাবে আপনার আত্মবিশ্বাসও বাড়ায় এবং নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কারের সুযোগ দেয়।
আয়নার সঠিক ব্যবহার
ঘরের আয়না ব্যবহারের সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখা উচিত। যেমন, আয়নাটি কোথায় স্থাপন করবেন, কত বড় আয়না ব্যবহার করবেন, কিংবা আয়নার আকার কেমন হবে। ফেং শুইতে আয়নাকে ইতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি এবং ঘরের পরিবেশকে শান্তিময় করতে ব্যবহারের গুরুত্ব দেওয়া হয়।
উপসংহার
আয়না কেবল একটি সাধারণ উপাদান নয়, এটি ঘরের শৈল্পিকতা ও সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে তোলে। সঠিক স্থানে আয়নার সৃজনশীল ব্যবহার আপনার ঘরের পরিবেশকে করে তুলতে পারে প্রাণবন্ত, উজ্জ্বল এবং প্রশস্ত। ঘর সাজাতে আয়নার এই বহুমুখী ব্যবহার আপনার সাজসজ্জার কৌশলে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।
ঘর সাজাতে ইন্ডোর প্লান্টের জুড়ি মেলা ভার। আসবাব যেমনই হোক, ঘরের এক কোনে একটি গাছ রাখুন- শোভা বাড়বে। আসলে গাছই তো সবচেয়ে সুন্দর শিল্পকলা।
তবে শুধু শোভা বৃদ্ধিই নয়, ঘরে গাছ রাখলে মুডও থাকবে ভাল। বিশেষ করে শহরের ফ্ল্যাটবাড়িতে প্রকৃতিকে অনেকেই মিস করেন। সেখানে একটি গাছের ছোঁয়াই সুন্দর করে তুলবে আপনার দিন।
ইন্ডোর প্লান্ট নিয়ে অনেকেই ভয় পান। প্রথমেই ভাবেন অনেক দাম হবে। তারপর ভাবেন যে ভীষণ যত্ন করতে হবে। তবে এমনটা কিন্তু একেবারেই নয়।
এই লিস্টে পাবেন ৭টি সবচেয়ে সহজ ইন্ডোর প্লান্টের উদাহরণ। একটি বাদে সবকটিই ডাল কেটে পুঁতলেই হয়। আর বেশি যত্নেরও প্রয়োজন নেই।
খালি মনে রাখা প্রয়োজন যে ইন্ডোর প্লান্ট হলেও গাছের সালোকসংশ্লেষের জন্য আলো প্রয়োজন। তাই চেষ্টা করুন দক্ষিণ, পূর্ব বা পশ্চিমের রোদ আসে এমন জানলার পাশে রাখার।
তাছাড়া একই জাতের দুটি টব করুন। একটি বারান্দায় রাখুন। একটি ঘরে। ঘরে একটানা ৩ দিন পর দুটি গাছের স্থান অদলবদল করে নিন। বাইরের রোদ-আলো পেলে গাছের বৃদ্ধি ভাল হবে। পাতার উপরের ধুলোর আস্তরণ মাঝে মাঝে পানি দিয়ে ধুয়ে দেবেন। গাছ সতেজ থাকবে।
মাটি শুকিয়ে গেলে তবেই পানি দিন। অতিরিক্ত পানি দেবেন না। আবার গাছ নেতিয়ে পড়া পর্যন্তও অপেক্ষা করবেন না।
কোথাও বেড়াতে গেলে ১ সপ্তাহের জন্য খুব ভয়ের কিছু নেই। যাওয়ার আগে ভাল করে পানি দিয়ে যাবেন। সরাসরি রোদে রাখবেন না। অল্প আলোয়, বারান্দায় রাখবেন। আর বাড়ি ফিরেই পানি দিয়ে দেবেন।
ইন্ডোর প্লান্টের জন্য খুব বেশি কিছু সারের প্রয়োজন নেই। তবে মাঝে মাঝে বাজারচলতি কোনও সার দিতে পারেন। পরিমাণে সামান্য দেবেন। নয় তো পাতা জ্বলে যাবে।
যে কেউ করতে পারবেন এমন ৭টি ইন্ডোর প্লান্ট :
১. মানি প্লান্ট (Money Plant/ Pothos)
হয় তো ভাবছেন এ আর এমন কী গাছ! আসলে সেই জন্যই এই নাম রাখা। কারণ মানি প্লান্ট করা বেশ সহজ। আর ঠিকভাবে যত্ন নিলে মানি প্লান্টের সৌন্দর্য্য অনেক দামি গাছকেও হার মানায়।
বিভিন্নভাবে করতে পারেন মানিপ্লান্ট। ছোট টবে করে বারান্দায় হ্যাঙ্গিং প্লান্ট হিসাবে করতে পারেন। আবার বড় টবের মাঝে একটি লাঠি পুঁতে নিতে পারেন। সেটি বেয়ে বেয়ে মানিপ্লান্ট বাড়বে। আবার ছোট বাহারি টবেও করতে পারেন। বুক সেলফ বা টেবিলের এক কোনে রাখবেন।
একটু খোঁজ নিলেই কোনও বাগানপ্রেমী বন্ধুর থেকে কাটিং পাবেন।
বসানোর সময়ে মাঝারি টবে অন্তত ৭-৮টি কাটিং বসাবেন। আর মাঝে মাঝে ট্রিমিং করবেন। ঘন হবে।
২. সানসাভেরিয়া (Sansaveria)
ইদানিং ইন্টিরিয়র ডেকরেশনের বাজারে খুব জনপ্রিয় সানসাভেরিয়া। Mother-in-Law’s Tounge নামেও পরিচিত। খুবই হার্ডি গাছ। এক সপ্তাহ পানি দিতে ভুলে গেলেও কোনও সমস্যা নেই। আর বেশ অন্যরকম দেখতে।
বিভিন্ন জাতের সানসাভেরিয়া হয়। হলুদ বর্ডার, কালচে সবুজ পাতার গাছটি সাদা বা লাল টবে সত্যিই খুব সুন্দর দেখায়।
গোড়া থেকে চারা বের হয়। সেটা তুলে বসালেই গাছ হবে। অনেকে গোটা পাতা কেটে বসান। তবে সেটায় অনেক সময় লাগে।
৩. ড্রাসিনা (Dracena)
এই গাছটি অনেকেই বাগানে করেন। ইন্ডোর প্লান্ট হিসাবেও বেশ ভাল। তবে মাটি বেশিদিন যাতে শুকিয়ে না যায় সেদিকে নজর রাখবেন। মাটি শুকিয়ে গেলে পাতা ঝড়ে যায়। তবে, পানি দিলেই আবার সতেজ হয়ে ওঠে।
ডাল কেটে মাটিতে পুঁতে দিলেই নতুন গাছ হবে। গাছের প্রধান ডাল কেটে দিলেই নতুন শাখা বের হয়।
৪. এরিকা পাম (Erica Palm)
বাংলাদেশে যদি সবচেয়ে জনপ্রিয় ইন্ডোর প্লান্টের তালিকা করা হয়, তার মধ্যে প্রথম দশে অবশ্যই এরিকা পামের নাম থাকবে।
যে কোনও নার্সারিতেই পাবেন এরিকা পাম। দামও খুব বেশি নয়। খুব বেশি যত্নেরও প্রয়োজন নেই। টবে পানি না বসলেই হল।
তবে অন্যান্যগুলির তুলনায় এটি একটু বেশি রোজ পছন্দ করেন। তাই জানলার ধারে বা বারান্দায় রাখলে সবচেয়ে ভাল। অথবা সপ্তাহে ২ দিন ঘরে রেখে বাকি ৫ দিন বারান্দা বা বাগানে রাখতে পারেন।
এই গাছটি যেহেতু একটু লম্বা হয়, তাই খাট বা সোফার পাশে, ঘরের এক কোনে দেখতে বেশ সুন্দর লাগে।
৫. মনস্টেরা (Monstera)
২০২০-২১-এ সবচেয়ে জনপ্রিয় ইন্ডোর প্লান্ট কী জানেন? মনস্টেরা। বড় বড় পাতার এই গাছ এখন ইন্টিরিয়ার ডিজাইনারদের প্রথম পছন্দ।
মানিপ্লান্টের মতো ডাল কেটে বসালেই এই গাছ হয়। বাগানপ্রেমী কাউকে ছবি পাঠিয়ে জিজ্ঞাসা করতে পারেন এর বিষয়ে। কাটিং পেয়ে যাবেন।
কাটিং বসানোর পর কয়েকদিন ছায়ায় রাখবেন। মাটি ভিজে ভিজে রাখবেন।
তবে মনস্টেরা বড় হতে একটু সময় লাগে। প্রথম ৫-৬টা পাতায় কোনও বিন্যাস বা নকশা থাকে না। একটু বড় হলে তখন দেখা যায় তার আসল রূপ। তাই একটু ধৈর্য্য ধরতে হবে।
৬. কোলিয়াস (Coleus)
সবুজ বাদ দিয়ে একটু অন্যরকম রঙ চাই? তাহলে তাহলে এটাই সেরা চয়েস।
ডাল কেটে বসালেই হবে। তবে একটা টবে ৪-৫ টি অন্তত কাটিং বসাবেন। নিয়মিত পানি দিলেই গাছ ধরে যাবে।
কোলিয়াসের ক্ষেত্রে নিয়মিত ডগা ছাঁটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তবেই গাছ ঘন ও সুন্দর হবে। ডগার পাতা না ছাঁটলে গাছ বেশি লম্বা হয়ে যাবে। পাতার সংখ্যাও কম হবে।
এই গাছের ডাল খুব নরম। তাই একটু সাবধানে হ্যান্ডেল করতে হয়। গোড়ায় যাতে পানি না বসে সেদিকে নজর রাখতে হবে।
৭. রবার প্লান্ট (Rubber Plant)
ইন্ডোর প্লান্ট হিসাবে রাবার প্লান্টের জনপ্রিয়তা নতুন নয়। একটু বড় ঘর হলে ও প্রচুর আলো বাতাস থাকলে এই গাছ পারফেক্ট। বারান্দাতেও করতে পারেন। খুবই হার্ডি গাছ।
ডাল কেটে বসালেও হয়। তবে নার্সারি থেকে একটু হরমোন পাউডার কিনে নেবেন। সেটি ডালের কাটা স্থানে লাগিয়ে বসাবেন। মাটি অল্প ভিজে রাখবেন।
রবার গাছের বিভিন্ন ভ্যারাইটি হয়। কালচে পাতা, লাল দাগসহ পাতা ইত্যাদি।
উপরের লিস্টের কোন গাছ আপনার বাড়িতে আছে? কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আর কাটিংয়ের আবদারটাও তাড়াতাড়ি সেরে ফেলুন। বাগানপ্রেমী বন্ধু বা আত্মীয়র সঙ্গে শেয়ার করুন ।
আমরা এই গাছ গুলো বিক্রি করছিনা এখনো । অনেকেই আমাদের কাছে জানতে চান তাদের জন্য আমাদের এই পোস্ট ।
বেড রুমের জন্য সঠিক রঙ নির্বাচন করা সত্যি খুব কষ্ট দায়ক একটা কাজ । হাজার হাজার রঙের ভিড়ে আমার জন্য কোনটা পারফেক্ট হবে সেটা খুঁজে বের করা আরো কষ্ট সাধ্য । আপনার আমার এই সমস্যা কে সমাধান করার জন্য আজ আমরা নিয়ে এসেছি ৫ টি সেরা ৫ টি কালার যা আপনার ঘর কে অন্য মাত্রায় নিয়ে যেতে সক্ষম ।
এই রঙটি আপনার বেডরুমে একটা শান্তি ভাইব নিয়ে আসবে এবং মিনিমালিজম যোগ করতে সক্ষম। এটি একটি হালকা রঙ, যা একটি আধুনিক পরিবেশ তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে এবং চোখের শান্তি হিসেবেও এই কালার টি একই ভাবে কাজ করে । আপনি যদি শান্তি প্রিয় সাধারণ মানুষ এবং সাধারণ জিনিস পত্র পছন্দ করেন তাহলে এই রঙ আপনার জন্য পারফেক্ট ।
Color Name: Oyster Grey Code: 8473 Brand: Asian Paints
Color Name: Aluminium Code: 8337 Brand: Asian Paints
কথায় বলে মনের আয়নায় ভেসে ওঠে আপনার আত্মার প্রতিচ্ছবি, সেটা নাকি চোখের ভাষায় ফুটে ওঠে। আয়নায় শুধু আমরা নিজের চেহারার প্রতিচ্ছবি না, আত্মার প্রতিফলনও দেখতে পাই আর তাই হয়ত আয়না থেকে চোখ ফিরিয়ে নেওয়া স্বভাবতই কঠিন। আয়না আপনাকে মনে করিয়ে দেয় আপনি কতটা সুন্দর, কতটা প্রিয় নিজের কাছে, কতটা ভালো আপনি নিজেকে বাসতে পারেন। ঘরময় আয়না তাই হয়ে উঠতে পারে আপনার নিজস্বতা প্রকাশের ভঙ্গি, আয়না দিয়ে নানা ভাবে দেয়াল সাজিয়ে ঘরকে আপনি দিতে পারেন ব্যক্তিত্বের অন্য মাত্রা।
কোথায় সাজাবেন আয়না?
ঘরের ঠিক কোন কোন কোণায় আয়না থাকবে সেটা নির্ভর করবে আপনার ঘরের অন্যান্য আসবাবপত্র ও দেয়ালের উচ্চতার উপরে। এমন কিছুর বিপরীতে আয়নার স্থান নির্ধারন করা উচিৎ যেটা চোখের সৌন্দর্য বর্ধন করে। যে কোন পেইন্টিং যেমন আই-লেভেলে রাখলে তা আকর্ষন ধরে রাখে, তেমনি আয়নার ক্ষেত্রেও চোখের দৃষ্টির বিবেচনায় স্থান নির্ধারন যথাযথ হওয়া উচিৎ। তবে আয়নার সর্বদা উদ্দেশ্য শুধু মাত্র মানুষের প্রতিচ্ছবি’র প্রতিফল না, তাই ঘরের অন্যান্য অনেক কিছুর সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য আয়নার স্থান নির্ধারন ভিন্ন হতে পারে।
বড় আয়নায় সাজুক ঘরঃ
আপনার ঘরের আয়তন চিন্তা করে যে দেয়ালে আয়না বসাতে হবে ব্যাপারটা তেমন না। অনেক ধরনের এক্সপেরিমেন্টের সুযোগ আছে যা আপনি আয়নার মাধ্যমে করতে পারেন। ছোট ঘরে বড় আয়না, চোখের দৃষ্টিতে ঘরের পরিধিও বড় করে দেয়। সিলিং-এ আয়না সব সময় ছাদের উচ্চতা বাড়িয়ে দেয়, ঘরকে প্রশস্ত মনে হয়।
ফোকাল পয়েন্টে আয়নার অবস্থানঃ
ঘরের লাইটিং সাধারণত ফোকাল পয়েন্টের অবস্থান অনুযায়ী করা হয়। ঘরের সব দিকে আলো ছড়িয়ে পড়ার জন্যই এই ব্যাপারটি মাথায় রাখা হয়। আয়নার ক্ষেত্রেও ফোকাল পয়েন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে। ঘরের আলো আর আয়না মিলেমিশে এক ধরনের ইলিউশন তৈরি করতে পারে। ডাইনিং আর ড্রয়িং রুমের ক্ষেত্রে এই টেকনিকটা বেশি ব্যবহার করা হয়।
ছোট ছোট আয়নায় সৌন্দর্য বর্ধনঃ
ফটোফ্রেমের দেয়ালের মত, আপনি সাজাতে পারেন আপনার একান্ত নিজস্ব আয়নার দেয়াল। আয়না গুলো নানা সাইজের এবং ধরনের হতে পারে, ছোট ছোট নানা ধরনের আয়না এখানে নিজের পছন্দ মত ব্যবহার করা যাবে। সাজানোর ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে দেয়ালের কোন উচ্চতা থেকে আয়নার প্লেসমেন্ট শুরু হবে এবং কম্পোজিশন অনুযায়ী কোথায় শেষ হবে।
ফার্নিচারে আয়নার সংযোজনঃ
আপনার ওয়ারড্রব, আলমারি, শো-কেইসে খুব সহজেই আয়নার সংযোজন করা সম্ভব। শুধু দেয়লে বা ড্রেইসিং টেবিলে আয়নার ব্যবহার না করে আপনার পছন্দের ডিজাইনের যে কোন ফার্নিচারে আয়নার সংযোগ ঘটানো যায়, এতে ফার্নিচারটি যেমন অন্যমাত্রা পায় তেমনি সাধ্য ও শখ-ও পূরণ হয়।
স্মৃতির সাথে মুহূর্তের বন্ধনঃ
ঘরের দেয়ালের ছবির ফ্রেমের মাঝ বরাবর একটি আয়না সাজালে এক চমৎকার মেলবন্ধন হয় আপনার অতীত আর বর্তমানের। ঘরের দেয়ালের ছবির ফ্রেম যেমন আপনি স্মৃতিকে জড়িয়ে রাখবেন তেমনি আয়নায় প্রতিদিন নিজের প্রতিচ্ছবি দেখে আপনি খুঁজে পাবেন নিজেকে। চমৎকার সব ফ্রেমের আকার ও সেটাপ অনুযায়ী আপনার আয়নাটিও বাছাই করতে হবে, তবেই দেয়ালে ফুঁটে উঠবে স্মৃতির সাথে মুহূর্তের বন্ধন।
ছোট পরিসরের ঘরকে সুন্দর ও বড় দেখাতে আয়নার ব্যবহার বেশ জনপ্রিয়৷ আয়নায় প্রতিচ্ছবি ঘরকে নিজস্বতা দেয়। আয়নার নকশা আর আয়তনটা নির্ভর করবে কোন ঘরের দেয়ালে তা লাগাচ্ছেন তার ওপর এবং কেমন ধরনের বাজেটে আপনি আয়না কিনছেন সেটাও। ঘরের প্রবেশপথের দেয়ালে ঝুলিয়ে দিতে পারেন আয়তাকার নকশার আয়না৷ ঘরের যেকোনো একটা সুবিধাজনক দেয়ালকে ডেকোরেটিভ করে তুলতে একটা বর্গাকৃতি আয়না ঝুলিয়ে দিন। এর নিচে একটি তাকে মাটির তৈজসপত্র আর গাছ রাখতে পারেন। এ ক্ষেত্রে গাছ রাখতে বাঁশের তৈরি পাত্র ব্যবহার করতে পারেন। এদিকে বসার ঘরের দেয়ালে দেশীয় আয়নাও ভালো লাগবে।
আপনার ঘরের অন্যান্য আসবাব, পরিধি আর নিজের রুচি অনুযায়ী আয়না কিনে খুব সহজেই ঘরকে সাজিয়ে তুলতে পারবেন নিজের মনের আয়নার মত করে।